শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: চরম সুখে সামিল দু’পক্ষই। তবে সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, যৌনমিলনের হার বাড়লেও চরম শারীরিক সুখ বা অরগ্যাজমের হারে সন্তুষ্ট নয় অধিকাংশ মহিলাই। কন্ডোম প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড Durex-এর এক সমীক্ষা অনুযায়ী ৭০% ভারতীয় মহিলা সেক্সে চরম সুখ থেকে বঞ্চিত থাকেন। অর্থাৎ, তাঁদের অরগ্যাজম হয় না। মহিলাদের এই অরগ্যাজম প্রাপ্তির হারকে সামনে রেখেই সংস্থা শুরু করেছে #Orgasminequality।
মহিলাদের (শহর-তথ্য প্রকাশ করা হয়নি) উপর করা সমীক্ষার এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নিয়ে দেশের একাধিক সেলেবদের কাছে হাজির হয় Durex। এবং অধিকাংশই এগিয়ে এসে মুখ খুলেছেন এই ইস্যুতে। লিঙ্গ বৈষম্য এদেশের বহু চর্চিত বিতর্ক। এরপর অরগ্যাজম বৈষম্যের পরিস্থিতি আসা উচিত নয় বলেই মত স্বরা ভাস্কর, পূজা বেদী, অপারশক্তি খুরানার মতো অভিনেতা এবং কেনি সেবাস্টিয়ানের মতো স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানদের। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেকেই। সচেতনতার প্রসারেই আলোচনা বলে দাবি।
কিন্তু, যৌন সুখের চরম প্রাপ্তি থেকে মহিলাদের বঞ্চিত হওয়ার কারণ কী? Durex এই নিয়ে মন্তব্য না করলেও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে যৌনতার ফ্রেমই এর জন্য দায়ী। আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতাও পুরুষতান্ত্রিক নিগড়ে বাধা। পুরুষদের যৌনতা সাধারণত লিঙ্গকেন্দ্রীক।
অর্থাৎ, একটি অরগ্যাজমে তাঁদের যৌনতা শেষ হয়। তবে নারীর যৌনতা শুধুই যোনিকেন্দ্রীক নয়। তাই চরম মুহূর্তে পৌঁছতে তাঁদের তুলনায় বেশি সময় লাগে। সাধারণত, উৎপাদনকামী যৌনতার ঝোঁক বেশি হয় পুরুষদের মধ্যে। এছাড়াও প্রকৃত যৌনশিক্ষার অভাব, সঙ্গমের সময় তাড়াহুড়ো করা ইত্যাদি কারণে পার্টনারকে সুখী করতে ব্যর্থ হন তাঁরা।
Leave a Reply